পোস্টগুলি

জুন, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সহস্রধারা ট্রেইলঃসীতাকুণ্ড

ছবি
আহমাদ যুবায়ের ২০১৭ সাল,সেপ্টেম্বর মাস।ভরা বর্ষার অন্তিমকাল।ঈদের ছুটি গুলো নষ্ট হচ্ছিলো অলস বসে বসে। যখন কাউকেই রাজি করানো যাচ্ছিলো না, তখন হঠাৎ ফোন আসলো বন্ধু আতিকের নাম্বার থেকে।গন্তব্য সীতাকুন্ড,সহস্রধারা ঝর্ণা। একদিনের ট্যুর।ট্রাভেলিং আর ট্রেকিংয়ের ছোট ও সহজ কম্বিনেশন।রাতে সব কিছু ঠিক করে পরদিন সকালে আমি, আতিক, ফারুক আর আমানাত উপস্থিত হলাম চট্রগ্রামের অলংকারস্থ বাস স্টেশনের সামনে। এখানে থেকে যেতে হবে সীতাকুণ্ড ছোট দারোগাহাট।কন্ডাকটরকে বলে রাখলে সেই নামিয়ে দিবে।  ছোট দারোগাহাট নেমে আমরা রাস্তার পূর্বদিক (রাস্তাপার হতে হবে) হতে সিএনজি নিলাম।বর্ষার সময় হওয়ায় সিএনজি পরীর দিঘীর পার পর্যন্তই যেতে রাজি হলো, এরপরের রাস্তা গাড়ি চালানোর উপযুক্ত না।পরীর দিঘীরপার হতে কথা বলতে বলতে আমরা হাটছিলাম পাহাড়ে ঘেরা বৃষ্টিস্নাত ট্রেইল ধরে। পরীর দিঘী পারের রাস্তা   ২০ থেকে ২৫ মিনিট মধ্যম ট্রেকিং করেই পৌছে গেলাম সহস্রধারা থেকে নেমে আসা পানি থেকে সৃষ্ট হ্রদ যা তৈরী হয়েছে পানি উন্নয়ন সমিতির দেওয়া সহস্রধারা বাধের ফলে।ভরা বর্ষায় যখন হ্রদের পানি টইটম্বুর অবস্থা তখন এই বাধ খুলে দেওয়া হয়...

দুপ্রু ঝিরি পথ হয়ে মারায়ন থং ঝর্ণা এবং তুক অ দাম তুয়া

ছবি
আহমাদ যুবায়ের বৃহঃস্পতিবার অফিস থেকে বাসায়ফিরছিলাম আমি আর সাঈফুদ্দীন ভাই একই গাড়িতে করে। খুব শক্ত করে ধরলাম সামনের শনিবার বন্ধ,তাই বন্ধটা কাজে লাগাতে চাই,চলেন কোথাও ট্যুর দিয়ে আসি। ২০১৭ সালের গাড়িতে বসে বসে চিন্তা করছিলাম কোথায় যাওয়া যায়, অনেক গুলো নামের ভিতর শেষমেষ এসে ঠেকলো বান্দরবন যাবো।গন্তব্য দামতুয়া ঝর্ণা। আমি খুব এক্সাইটেড। ২৯ সেপ্টেম্বর জুমাবার ২০১৭ সাল, সকাল বেলা বের হতে হতে দেড়ি হয়ে গেলো যাবো কি যাবো না করতে করতে। তখন সাঈফুদ্দীন ভাই নতুন বিয়ে করেছিলেন, তাই ভাবীকে মানিয়ে বের হতে হত উনার দশটা বেজে গিয়েছিলো। নানা অনিশ্চয়তার মাঝে চকরিয়ার গাড়িতে উঠলাম বেলা তখন এগারোটা।দুপুর একটার দিকে চকরিয়া বাজারে পৌছে জুমার নামাজ শেষ করে আলীকদমের জীপে উঠে পড়লাম আমি আর সাঈফুদ্দীন ভাই। আকাশ মেঘলা ছিলো তাই জার্নি ভালোই লাগছিলো। সাইফুদ্দীন ভাই জীপের বাহিরে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন ভেতরে যায়গা না হওয়ায়। আমাদের জীপ তখন লামার দিকে ছুটছে হঠাৎ আকাশ কালো করে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো, সাইফুদ্দীন ভাই ভিজছিলেন বাহিরে। লামার রাস্তা গুলো এতোই উচুতে যে রাস্তা এপাশ-ওপাশ দুটোই খাঁদ। জীপ স্লীপ করে কোন এক পাশে ...

জমিদারের শহরঃ নাটোর

ছবি
আহমাদ যুবায়ের   সফর সঙ্গীঃ আরমান হোসাঈন ২০১৮ সালের ২২ কি ২৩ জুন ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত ঘরে বসে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম একরকম। বন্ধু-বান্ধব সবাই ব্যস্ত। বহু কষ্ট বাল্যবন্ধু আরমানকে পেলাম চট্টগ্রাম থেকে বের হবো বলে! ফোনে কথা বলে ঠিক করলাম মহেশখালী যাবো , দুপুর নাগাত ঘর থেকে বের হতে হবে। বাসা থেকে বের হবো , অমনি ফোন দিয়ে সে বলে বন্ধু সাতার তো পারি না , কেমন জানি লাগছে! তখন আমার উদ্দেশ্য ছিলো ঘর থেকে বের হওয়া , সেটা মহেশখালী হউক বা অন্য কোন খানে। বললাম আচ্ছা তুই অলংকার মোড় আই , উত্তর বঙ্গের গাড়িতে উঠে যাবো , নাটোর ঘুরে আসি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজশাহীগামী গাড়িতে চড়ে বসলাম। জীবনে প্রথম নাটোর যাচ্ছিলাম। কিছুই চিনি না , কিছুই জানি না। গাড়ি চলা শুরু করলো। অবশেষে চট্টগ্রাম ছেড়ে দূরে কোথাও।টাংগাইল পেড়িয়ে গাড়ি সিরাজগঞ্জের দিকে যাওয়া শুরু করলো , কি অপরুপ দৃশ্য কল্পনা করা যায় না যমুনা নদীর। প্রথমে বুঝে উঠতে পারিনি অববাহিকাটি কিসের , পরে আস্তে আস্তে যমুনা নদী প্রকাশ হলো , গাড়ি উঠে পড়লো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর উপর। সব অচেনা জায়গা হঠাৎ করে সামনে আসলে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয় ত...