পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছেরাপুঞ্জী-মৌসিনরাম ও গোয়াইন-সারি নদী বেষ্টিত সিলেটের অদ্যপ্রান্ত

ছবি
আহমাদ যুবায়ের ২০১৮ পর আবার সুযোগ আসলো সিলেট ট্যুরের , আসলো বললে ভুল হবে , করে নিতে হলো। চট্টগ্রামে বাসস্থান হওয়াতে সিলেটের মতো দূরের ট্যুরের জন্য আসলেই অনেক পরিশ্রম করা লাগে শুধু মাত্র সফরসঙ্গী যোগাড় করতেই। সেক্ষেত্রে এবারের ট্যুর ম্যাট হিসেবে আমাদের সর্ব শেষ ট্যুর ‘বাঁশখালীর’ ট্যুর ম্যাটদের সহজেই পেয়ে গেলাম। অর্থ্যাৎ আরমান,সোহেল, শিবলী ও আতা মামা।ঈদের ছুটিতে ট্যুর মানেই টিকেট সংকট। যথারীতি আমাদের ম্যানেজার আরমান শিবলীকে সঙ্গে নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টাই আগষ্ট ১৪ তারিখ রাতের ট্রেনের টিকেট ম্যানেজ হলো। গেলো বার বাসে যাওয়ায় সিলেট রুটের ট্রেন সম্পর্কে কোনরূপ ধারণা ছিলো না। ১৪ তারিখ রাতে সবাই উপস্থিত চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে, ট্রেনের বগির চেহারা দেখে আমাদের সবার মন খারাপ, উপায় নেই । যাত্রা শুরু হলো জাস্ট টাইমেই । গল্প আড্ডার সাথে সাথে আমাদের ট্রেন চলছে-যাত্রার এক পর্যায়ে বললাম ‘যাওয়ার সময় এই ট্রেনকেই সবাই মিস করবি দেখিস!’ সবাই বললো কেনো? বললাম সিলেটে তো যাচ্ছি ফিরতি টিকেট কিন্তু পাবো না এটা মাস্ট! আসার সময় যা ব্যবস্থা হয় তাতেই আসা লাগবে তবে বিআরটিসির টিকেট পাওয়া যাবে। সবার মাথায় ...

সহস্রধারা ট্রেইলঃসীতাকুণ্ড

ছবি
আহমাদ যুবায়ের ২০১৭ সাল,সেপ্টেম্বর মাস।ভরা বর্ষার অন্তিমকাল।ঈদের ছুটি গুলো নষ্ট হচ্ছিলো অলস বসে বসে। যখন কাউকেই রাজি করানো যাচ্ছিলো না, তখন হঠাৎ ফোন আসলো বন্ধু আতিকের নাম্বার থেকে।গন্তব্য সীতাকুন্ড,সহস্রধারা ঝর্ণা। একদিনের ট্যুর।ট্রাভেলিং আর ট্রেকিংয়ের ছোট ও সহজ কম্বিনেশন।রাতে সব কিছু ঠিক করে পরদিন সকালে আমি, আতিক, ফারুক আর আমানাত উপস্থিত হলাম চট্রগ্রামের অলংকারস্থ বাস স্টেশনের সামনে। এখানে থেকে যেতে হবে সীতাকুণ্ড ছোট দারোগাহাট।কন্ডাকটরকে বলে রাখলে সেই নামিয়ে দিবে।  ছোট দারোগাহাট নেমে আমরা রাস্তার পূর্বদিক (রাস্তাপার হতে হবে) হতে সিএনজি নিলাম।বর্ষার সময় হওয়ায় সিএনজি পরীর দিঘীর পার পর্যন্তই যেতে রাজি হলো, এরপরের রাস্তা গাড়ি চালানোর উপযুক্ত না।পরীর দিঘীরপার হতে কথা বলতে বলতে আমরা হাটছিলাম পাহাড়ে ঘেরা বৃষ্টিস্নাত ট্রেইল ধরে। পরীর দিঘী পারের রাস্তা   ২০ থেকে ২৫ মিনিট মধ্যম ট্রেকিং করেই পৌছে গেলাম সহস্রধারা থেকে নেমে আসা পানি থেকে সৃষ্ট হ্রদ যা তৈরী হয়েছে পানি উন্নয়ন সমিতির দেওয়া সহস্রধারা বাধের ফলে।ভরা বর্ষায় যখন হ্রদের পানি টইটম্বুর অবস্থা তখন এই বাধ খুলে দেওয়া হয়...

দুপ্রু ঝিরি পথ হয়ে মারায়ন থং ঝর্ণা এবং তুক অ দাম তুয়া

ছবি
আহমাদ যুবায়ের বৃহঃস্পতিবার অফিস থেকে বাসায়ফিরছিলাম আমি আর সাঈফুদ্দীন ভাই একই গাড়িতে করে। খুব শক্ত করে ধরলাম সামনের শনিবার বন্ধ,তাই বন্ধটা কাজে লাগাতে চাই,চলেন কোথাও ট্যুর দিয়ে আসি। ২০১৭ সালের গাড়িতে বসে বসে চিন্তা করছিলাম কোথায় যাওয়া যায়, অনেক গুলো নামের ভিতর শেষমেষ এসে ঠেকলো বান্দরবন যাবো।গন্তব্য দামতুয়া ঝর্ণা। আমি খুব এক্সাইটেড। ২৯ সেপ্টেম্বর জুমাবার ২০১৭ সাল, সকাল বেলা বের হতে হতে দেড়ি হয়ে গেলো যাবো কি যাবো না করতে করতে। তখন সাঈফুদ্দীন ভাই নতুন বিয়ে করেছিলেন, তাই ভাবীকে মানিয়ে বের হতে হত উনার দশটা বেজে গিয়েছিলো। নানা অনিশ্চয়তার মাঝে চকরিয়ার গাড়িতে উঠলাম বেলা তখন এগারোটা।দুপুর একটার দিকে চকরিয়া বাজারে পৌছে জুমার নামাজ শেষ করে আলীকদমের জীপে উঠে পড়লাম আমি আর সাঈফুদ্দীন ভাই। আকাশ মেঘলা ছিলো তাই জার্নি ভালোই লাগছিলো। সাইফুদ্দীন ভাই জীপের বাহিরে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন ভেতরে যায়গা না হওয়ায়। আমাদের জীপ তখন লামার দিকে ছুটছে হঠাৎ আকাশ কালো করে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো, সাইফুদ্দীন ভাই ভিজছিলেন বাহিরে। লামার রাস্তা গুলো এতোই উচুতে যে রাস্তা এপাশ-ওপাশ দুটোই খাঁদ। জীপ স্লীপ করে কোন এক পাশে ...