পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অসমাপ্ত

ছবি
আহমাদ যুবায়ের   অজিৎয়ের জীবনে দুটোই সম্বল এক কবিতা আর দুই দিপান্নীতা। কবিতার প্রতি তার আগ্রহ ছিলো তখন থেকেই যখন সে প্রথম তারুণ্যে পদার্পণ করেছিলো। জীবনের প্রথম কবিতাটি সে তার বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় থাকা রশ্মীকাকে নিয়ে লিখেছিলো। কোন দিন তাকে শোনানো হয়নি অবশ্য। রশ্মীকা ছিলো তাদের জমিদারের মেয়ে। নেহায়েত জমিদারের মেয়ে বলেই হইতো সেই সাহস দেখায়নি সে।  অজিৎ যখন ২৫ বছর বয়সের যুবক তখন সত্যিকার অর্থ প্রেমে পড়া যাকে বুঝায় সেটাতেই পড়েছিলো সে। দিপান্নীতা দিপু। একাউন্টিংয় ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী সে। অজিৎ ইলেকট্রনিকস এন্ড কমিউনিকেশনের ছাত্র। সেও তখন ফাইনাল ইয়ারের।  পরিচয় বলতে সেরকম কিছুই না। ক্যাম্পাসে একদিন মারামারা লেগেছিলো দুপক্ষের। সবাই হুরমুর করে দৌড়াদৌড়ি করছিলো। তখন বিকেল প্রায়, সবাই বাসার দিকে রাওয়ানা হবে এমন সময় দিপান্নীতা মেয়েটি হঠাৎ কোথা থেকে এসে অজিৎতের পাসের সীটে বসে পরে। প্রচন্ড রকমের হাপাচ্ছিলো সে। অজিৎ তার পানির ফ্লাস্কটি এগিয়ে দেয় মেয়েটির দিকে৷ পুরো যাত্রা পথে আর কোন কথাই হয়নি তার সাথে কেবল ফিরতি ধন্যবাদ ছাড়া।  এরপর ক্যাম্পাস প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ ছিলো। অজিৎত তখন প্রা...

স্বাধীন

ছবি
 আহমাদ যুবায়ের  একঃ মানিক, ও মানিক, কৈ গেলি বাপ!  জৈষ্ঠ্য মাসের প্রখর রোদ রহিমা বেগমের ঝুপড়ির ছেড়া প্লাস্টিকের ছাদ দিয়ে সরাসরি মুখে এসে পড়েছে রহিমা বেগমের গালে। রেললাইনের পাশে এই বস্তিতে রহিমার বেগমের ছোট সংসার। রোদ,বৃষ্টি, ঝড় যাই যাক, এখানেই তার ছোট সংসার। রহিমা বেগমের একটাই ছেলে।নাম স্বাধীন। রহিমা বেগমের স্বামী রিক্সা চালক ছিলো। মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় অকালেই প্রাণটা চলে যায় যার। ছেলের নামটা সেই দিয়ে গিয়েছিলো বড় আশা করে। রহিমা বেগম বাসা-বাড়ীতে ছুটা কাজ করে তার ছোট সংসার চালায়। আজ তিন দিন হলো গায়ে জ্বরের কারণে বিছানা ধরা সে। ছেলেকে একটা সরকারী স্কুলে বহু কষ্ট করে ভর্তি করিয়েছে, এক বাসার বড় কর্তাকে অনেক বলে কয়ে।  মানিক ঝুপড়ির ভিতরে ঢুকে, হাতে একটা পাউরুটির প্যাকেট আর কিছু ঔষুধ।   বাপ, তুই স্কুলে যাস নাই? রহিমা বেগম কাশতে কাশতে বলে।  আম্মা, টিফিন ছুটিতে আইছি, তোমারে খাওন দিয়া আবার যামু। রহিমা বেগম কিছু একটা জিজ্ঞেস করতে চায় ছেলেকে।   আম্মা, মসজিদের ইমাম সাব কিছু টাকা দিছিলো, সেটা দিয়ে আনলাম এইগুলান। তুমি খাইয়া নাও। স্বাধীন বুঝ দেওয়ার মিথ্যা চ...