দীপ্তর আকাশ
এক. এখনো কিসের ঘুম! ভার্সিটি যাওয়ার সময় হলো নাকি। বাবার চেঁচামেচিতে সকাল সকাল ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো দীপ্তর। রুবাইয়াত সাহেবের ছোট সংসার। এক ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রী রুবানা। তৃপ্তি তাদের একটি মাত্র আদরের মেয়ে সবে মাত্র ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে। ফিলসফি নিয়ে পড়ছে। একই ভার্সিটির ফিন্যান্সের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র দীপ্ত। রুবাইয়াত সাহেব একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনের চাকুরীজীবি আর উনার স্ত্রী রুবানা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। রুবাইয়াত সাহেব সকাল সকাল নাস্তা সেরে বেড়িয়ে পড়লেন অফিসের উদ্দেশ্যে। নাস্তার টেবিলে ব্যাগ গোছাতে গোছাতে দীপ্তের দিকে ৫০টাকা আর তৃপ্তির দিকে একশ টাকার একটা নোট বাড়িয়ে দিলেন রুবানা হক। দীপ্ত কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে ছিলো একশ টাকার নোটার দিকে আর যেই বললো- মা... অমনি রুবানা হক ব্যাগের চেইন বন্ধ করে বললেন তুই ছেলে, দরজটা লক করে দিয়ে যাস ভালো করে বলেই হরহর করে স্কুলের উদ্দেশ্যে রাওয়ানা হয়ে গেলেন। তৃপ্তি পিটপিট করে ভাইয়ের দিকে একবার তাকিয়ে পাউরুটিতে একটা কামড় বসালো যেনো সে কিছুই জানে না। তৃপ্তিঃ ভাইয়া, আমাকে আমার ফ্যাকাল্টি অব্দি নামিয়ে দিস কিন্তু! দীপ্তঃ কেনো, তোর ঠ্...